দেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইনের সংস্কার ও সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে কর্মজীবী শিশুরা। তারা বলছে, শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের কাজের তালিকা, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও মজুরি নির্ধারিত থাকতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি, বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ দিতে হবে।
Advertisement
বুধবার (১২ জুন) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি)’ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এ দাবি জানায়।
আরও পড়ুন
দেশে ৪৩ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে ১০ লাখ শিশুবিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’-এ স্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম। সমাবেশে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন এএসডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা। কর্মসূচিতে এসএসডির কর্মকর্তারা ছাড়াও শ্রমজীবী শিশুরা অংশ নেন।
Advertisement
বক্তারা বলেন, দেশে শতকরা ৪৬ ভাগ শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সের প্রায় ১৮ লাখ শিশু বিভিন্ন শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিশু মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত।
তারা বলেন, শ্রমে নিয়োজিত এই শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত আছে। তারা শিক্ষা ও শৈশবের বিনোদন থেকেও বঞ্চিত। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাসহ নানাবিধ শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এমনকি কিশোর অপরাধ চক্রে জড়িয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যৎ এই প্রজন্মকে শিশুশ্রমের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুশ্রম: আলোর নিচে অন্ধকারএদিকে, এএসডি চাইল্ড রাইট্স ভলান্টিয়ারদের উদ্যোগে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে ও রংপুরের লালবাগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরের মানববন্ধনে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মো. শাহ আলম এবং চট্টগ্রামের মানববন্ধনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক বক্তৃতা করেন।
Advertisement
আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস