জাতীয়

আতিক ৬ ঘণ্টায়, তাপস ২৪ ঘণ্টায়

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ঢাকার দুই মেয়র নিজ নিজ এলাকার বর্জ্য অপসারণের সময়সীমাও ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে নগরের রাস্তাঘাট থেকে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন। একইভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১২ জুন) ঢাকায় পৃথক দুটি প্রোগ্রামে এ ঘোষণা দেন তারা। ১৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় ৬টি ও ডিএসসিসি এলাকায় ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর বাইরে ডিএসসিসির সারুলিয়ায় পশুর হাট ও ডিএনসিসির গাবতলিতে স্থায়ী হাট রয়েছে।

আরও পড়ুন

Advertisement

এবার ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হবে: মেয়র আতিক কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ: মেয়র তাপস এবার আরও সুন্দরভাবে বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো: তাপস

রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ডাম্প এবং কম্প্যাক্টর ট্রাকের সংযোজন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ছয় ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসরণ করা। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এবছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে আটটি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হলো এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো।

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরি, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। আমি নিজে মাঠে থাকবো। জনগণকে অনুরোধ করছি যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো।

অপরদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণায় ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি শেষ করার আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকাবাসী খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু হাট থেকে কিনতে পারবেন। হাটের কারণে যাতে নগরে যানজট না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এমএমএ/জেডএইচ/জেআইএম