ক্যাম্পাস

শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণা ফান্ড বাড়াতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। এজন্য শিক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্ভাবন ও গবেষণা ফান্ড বাড়াতে হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘বাজেট ২০২৪-২৫: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশ্বে চলমান সংকট মোকাবিলার চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করতে হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও অপচয় রোধ করার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। তিনি জাতীয় বাজেটে প্রতিটি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় রোধ এবং যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের উন্নয়নের এই ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের সব শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক এবং সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুপারিশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য সুশীল সমাজ, শিক্ষক, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. আবু ইউসুফ।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্মার্ট ক্লাসরুম ও ল্যাব স্থাপন, আধুনিক লাইব্রেরি স্থাপন, উন্নত আবাসন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বেতন ভাতা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সমসাময়িক বিষয়ে মানসম্পন্ন গবেষণা এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বাজেট বরাদ্দ ও সঠিক পরিকল্পনা উভয়ই প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য বাংলাদেশ যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছে তা বাস্তবায়নে এবং যে সব লক্ষ্যমাত্রাসমূহ স্থির করেছিল সেসব অর্জনের ক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছর কৌশলগতভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এম. এম. ফজলুল হক, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন।

এমএইচএ/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement