দেশজুড়ে

ধান-খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে ৫ কোটি টাকার সেতু

জামালপুরের ইসলামপুরে ডেবরাইপেচ সড়ক সংলগ্ন খালের ওপর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি সেতু। সেতুটির একপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের চলাচলে কাজে লাগছে না। গত এক বছর ধরে কৃষকের ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।

Advertisement

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইসলামপুর সদরের পচাবহলা থেকে চিনাডুলী ইউনিয়নের ডেবরাইপেচ সড়ক সংলগ্ন খালের ওপর ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২০ সালের ২২ মার্চ পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার ২০২ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর। পরে সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল সেতুটি উদ্বোধন করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব পাশে পাকা সড়ক থাকলেও পশ্চিমে নেই। তাই বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন মানুষ। সেতুর ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধান ও খড়। কয়েকজন নারী-পুরুষ ধান ও খড় শুকানোর কাজ করছেন।

পচাবহলা এলাকার আজগর মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও করিম বলেন, ‘এক বছর আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। আশা করেছিলাম দুর্ভোগ কমবে। তবে কমার বদলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেতুটি নির্মাণের আগে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা জরুরি ছিল। সড়কের অভাবে দুটি উপজেলার প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ রয়েছে।’

Advertisement

আমেনা নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। এজন্য এলাকার লোকজন এটাতে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করেন।’

অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, গত এক বছর ধরেই সেতুর একপাশে সড়ক থাকলেও অন্যপাশে নেই। তাই যাত্রীদের সেতুর ওপর নামিয়ে দিতে হয়। এতে দুর্ভোগ নিয়েই যাত্রী সাধারণের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।

ইসলামপুর উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

জামালপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। জামালপুর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পে ওই সেতুর এক পাশের রাস্তা নির্মাণের অংশ যুক্ত করা আছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগির সড়কের কাজ শুরু হবে।

Advertisement

নাসিম উদ্দিন/এসআর/এমএস