হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলো এখনো জমে না উঠলেও খামারগুলোতে চলছে বেচাকেনা। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কেনার সুবিধা থাকায় বেশিরভাগ মানুষই খামারমুখী হচ্ছেন। বিচিত্র নামকরণ করা বড় আকৃতির গরুগুলোই এখন খামারের আকর্ষণ। শায়েস্তাগঞ্জের সবচেয়ে বড় ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘জায়েদ খান’।
Advertisement
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামে সুজন মিয়ার খামারে একবছর ধরে পরম যত্নে লালন-পালন করা হচ্ছে শাহিওয়াল জাতের ‘জায়েদ খান’কে। তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস ও খড়সহ পুষ্টিকর দেশীয় দানাদার খাবার। লাল রঙের ২৫ মণ ওজনের ‘জায়েদ খান’ লম্বায় ১০ ফুট। উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট ছাড়িয়েছে। এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা জায়েদ খানের দাম পাঁচ লাখ টাকা হাঁকছেন খামারি। জায়েদ খান ছাড়াও তার খামারে বিক্রিযোগ্য ছয়টি শাহিওয়াল ও দেশি গরু রয়েছে।
নামের বিষয়ে খামারি সুজন মিয়া বলেন, “আমরা আদর করে গরুটির নাম ‘জায়েদ খান’ রেখেছি। কারণ এর গঠন অনেকটা জায়েদ খানের মতো। ‘জায়েদ খান’ বলে ডাক দিলে সে সাড়া দেয়।”
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এ বছর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে দুই হাজার ৪৭৯টি। যার মধ্যে গরু দুই হাজার ২১টি, ছাগল ৩৮১টি ও ভেড়া ৭৭টি। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা দুই হাজার ২৪২টি।
Advertisement
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, সুজন মিয়ার ষাঁড়টি এ বছর প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এটিই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। আশা করি তিনি আশানুরূপ দাম পাবেন।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/এমএস