বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে আওয়ামী সরকারের কালোছায়া পরিব্যাপ্ত। সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী শাসনের অভিঘাতে বিপন্ন প্রায়। দুঃশাসনের আঘাতে আইনের শাসন মনে হয় আত্মবলি দিয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব বারবার জামিন পাওয়ার পরও জেলগেট থেকে বেরোনোর সময় নতুন মামলা দিয়ে তাকে কারাবন্দি করে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ৫ জুন উচ্চতর আদালতে রিট পিটিশন করলে আদালত কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া মামলা না দেওয়ার জন্য আদেশ দিলেও সব মামলায় জামিনপ্রাপ্ত সাইফুল আলম নীরবকে আজও মুক্তি দেওয়া হয়নি। আওয়ামী বাকশালী শাসনের সংক্রমণে পুলিশি সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ মর্যাদা পায়। হাইকোর্টের নির্দেশকেও পুলিশ তোয়াক্কা করে না।
Advertisement
আরও পড়ুন
নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই বিএনপির জন্ম: রিজভী মানুষকে ক্ষুধায় রেখে আওয়ামী লীগ ফুর্তি করতে ভালোবাসে: রিজভীতিনি আরও বলেন, গত ৫ জুন, চতুর্থ দফা ডামি উপজেলা নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলহীন এবং ভোটারশূন্য এই নির্বাচনে নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদলীয় উপজেলা নির্বাচন উপভোগ করেছে। উপজেলায় লুট ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিতে রক্তস্রোত বইয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুসহ গরিব মানুষদের বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ এবং টাকা লুটকারী পুলিশের কিছু কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভোটারশূন্য জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ডামি সরকার ও তাদের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন মোটেও লজ্জিত নয়।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির এখন টালমাটাল অবস্থা। প্রতিদিনই দেশের অর্থনীতির ধ্বসের কথাই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। পুঁজি পাচারকারী, হুন্ডিওয়ালা, বিপুল অংকের ব্যাংকঋণ নিয়ে বছরের পর বছর ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হওয়া, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য কমে যাওয়া, তীব্র ডলার সংকট, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতিসহ সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে গভীর সংকটে ফেলেছে।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহ-সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং।
কেএইচ/এমআরএম/জিকেএস