চলছে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের। কেননা শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন স্ট্রাইকে। বাংলাদেশের সমর্থকরা তাই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কেশভ মহারাজের হাই ফুলটস বলে মাহমুদউল্লাহ সজোরে হাঁকিয়ে ছিলেন। ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু লংঅন বাউন্ডারিতে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন এইডেন মার্করাম। এভাবেই একটি বিজয়ের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো।
Advertisement
শুধু তা-ই নয়, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণেও ৪ রানে পিছিয়ে পড়তে হয় টাইগারদের। কেননা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বাতিল হয় একটি বাউন্ডারি, বাংলাদেশের হারও হয় সেই ৪ রানেই। এ ছাড়া অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাসরা ভালো খেলতে না পারাকেও দোষারোপ করছেন কেউ কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব নিয়ে নানাবিধ মত প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস লিখেছেন, ‘সব দায়িত্ব হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহর! অযোগ্য ক্যাপ্টেন শান্ত, আমরণ সুযোগ পাওয়া লিটন, বিজ্ঞাপন আল হাসানের কাছে জাতীয় দল এবং দেশের মানুষের আবেগ মূল্যহীন।’
লেখক মাইনুল ইসলাম মানিক লিখেছেন, ‘মিরপুরের পিচ পেয়েও বাংলাদেশ যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারে, তবে অদূর ভবিষ্যতে আর কোনো সম্ভাবনা নেই।’
Advertisement
আরও পড়ুন
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কি বন্ধ হবে? কানজয়ী অনসূয়াকে তসলিমার অভিনন্দনপ্রবাসী রহমাতুল্লাহ মানিক লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দল ভালো খেলছে। ম্যাচ হারার কারণ আম্পায়ার। লেগ বাই ৪ রান, হৃদয়ের আউট, ১০ম ওভারের শেষ বল ওয়াইড না দেওয়া যার উদাহরণ।’
লেখক সুহাসিনী বিনতে সুপ্তা লিখেছেন, ‘আর বাকি দুই ম্যাচ। এখন থেকে কাজ করা শুরু করলে বিশ্বকাপের পর সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।’
সাংবাদিক নাসির আহমেদ লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছর তো দু’পয়সার দাম দেয়নি আপনাদের। এবার শেবাগ তো আগায়ে দিলো। এবার প্রেস মিটে জিগান তো আপনার ১৯ ম্যাচের পরও অপদখল করে আছেন কেন? নাকি...? দিনের পর দিন ম্যাচের বারোটা বাজিয়ে সংসারের বড় ছেলের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে ভণ্ডামি করে যাচ্ছে চার লর্ড। আর বলবেন, ‘ফুলটসে ছয় মারতে পারে না, কিসের সিনিয়র?’ বলি, এই প্রজন্ম আপনাদের চেয়ে ক্রিকেট কম বোঝে না। র্যাংক ধুয়ে আর কত?’
Advertisement
ক্রিকেটের সমর্থক এনাম তালুকদার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাথেই আছি। ইনশাআল্লাহ জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। দ্য ফিনিশার মাহমুদউল্লাহ, মাহমুদউল্লাহ, মাহমুদউল্লাহ ভাই।’
অ্যাডভোকেট মো. সাদ্দাম হোসেন লিখেছেন, ‘ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। অথচ প্রতিদিন খেলছে রিয়াদ আর হৃদয়। বাকিরা আছেন শিক্ষা সফর থেকে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য!’
এসইউ/জিকেএস