লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
Advertisement
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মুহাম্মদ শাহাজাহান উল্লেখ করেন, সে বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলাটির প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃত আসামি প্রিন্স মামুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে বলে যথেষ্ঠ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আসামি প্রিন্স মামুনের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সে বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার এই অল্পবয়সে কে বা কাহারা তাকে এসব অপকর্ম করতে সহায়তা করছে তার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত ও মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ধৃত আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
Advertisement
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তারও আগে টিকটকার লায়লাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রোববার (৯ জুুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।
আরও পড়ুনভোতা অস্ত্র দিয়ে লায়লাকে জখম করেন প্রিন্স মামুনলায়লার ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুন গ্রেফতারঅভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
Advertisement
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
জেএ/এমএইচআর/জেআইএম