জাতীয়

দেশের ৫৮ জেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত

দেশের আরও ২৬টি জেলা এবং ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হলো।

Advertisement

মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ- এই ২৬ জেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

যে ৭০ উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হলো

ঢাকা জেলার ধামরাই; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর; শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা; ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা; নেত্রকোনার খালিয়াজুরী; কক্সবাজারের কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, ঈদগাঁও; চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড; চাঁদপুরের হাইমচর, চাঁদপুর সদর; লক্ষীপুরের রামগতি, কমলনগর; নোয়াখালীর হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর; কুমিল্লার আদর্শ সদর, মুরাদনগর; ফেনীর সোনাগাজী; গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা; কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, চররাজিবপুর, রৌমারী; রংপুরের গংগাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ; লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, আদিতমারী; নীলফামারীর সৈয়দপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী; বগুড়ার শেরপুর; সাতক্ষীরার আশাশুনি; যশোরের মনিরামপুর; খুলনার পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ; নড়াইলের লোহাগড়া, নড়াইল সদর; বাগেরহাটের বাগেরহাট সদর, শরণখোলা, রামপাল, মোল্লাহাট, ফকিরহাট, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, কচুয়া; ভোলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা; বরগুনার বরগুনা সদর, আমতলী; বরিশালের বরিশাল সদর, হিজলা, গৌরনদী; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই, ছাতক, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ এই ৭০ উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন এবং গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

ঘর পেয়ে জীবনমান বদলে গেছে মানুষের: প্রধানমন্ত্রী আমার সময় বদলাইয়ে দেছে শেখ হাসিনা

আসন্ন ঈদুল আজহার আগে শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ঘর পেলেন অসহায় এসব পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল এবং ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, ভোলার চরফ্যাশন ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে নতুন স্বপ্নে বিভোর ভূমিহীন-গৃহহীনরা ১৫ বছর পর একঘরে ঠাঁই হলো রুস্তম-মর্জিনার

আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যেখানে শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এসইউজে/এমকেআর/জিকেএস