প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দেওয়া ঘরে মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে বেজায় খুশি লালমনিরহাটের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষেরা। সহায়-সম্বলহীন এসব মানুষ জমিসহ ঘর পেয়ে এখন পরিবারে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সংযুক্ত থেকে গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর করবেন। আর এর মধ্য দিয়েই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১২৮২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর। এক সময় যাদের কোনো মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, ছিল না কোনো জমি, তারা আজ ঘর ও জমি পেয়ে অনেক খুশি। এখন তাদের অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে না। সেইসঙ্গে একখণ্ড জমি পেয়ে সেখানে সবজি চাষ করে নিজের চাহিদা মেটাচ্ছেন তারা।
লালমনিরহাটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর হবে মোট ১ হাজার ২৮২টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮৭৫টি, পাটগ্রামে ৯৯টি, হাতীবান্ধায় ১৬৬টি ও আদিতমারিতে ১৪২টি ভিটে হস্তান্তর হবে।
Advertisement
ফরিদা বেগম (২০) পেয়েছেন নতুন বাড়ি ও একটি সেলাই মেশিন। নতুন বাড়ির আঙিনায় সেলাই মেশিন দিয়ে ঈদ উপলক্ষে কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
ঘর পেয়ে খুশি হাজরা বেগম বলেন, তিস্তা নদীতে একে একে পাঁচবার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পরে বাঁধে রাস্তায় ঘর করেছিলাম। এখন সরকার পাকা বাড়ি দিছে। এই বাড়িতে আমরা খুবই খুশি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, এই প্রকল্পে ঘর উপহার দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকা হয়নি, বরং তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রশিক্ষণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। তাদের দুই শতাংশ জমি কবিলত রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। এরইমধ্যে প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
রবিউল হাসান/এফএ/জেআইএম
Advertisement