খেলাধুলা

শুধু সুপার-৮ না, আমরা সেমিফাইনাল ফাইনাল খেলার মতো দল: হৃদয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে বোলাররা আটকে দিয়েছিলেন ১১৩ রানেই। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই রানও তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ। লো স্কোরিং থ্রিলারে টাইগাররা হেরেছে ৪ রানে।

Advertisement

এমন ব্যাটিং নিয়ে সুপার এইটে যাওয়া সম্ভব কিনা? দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে করা হয়েছিল প্রশ্ন। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মারকুটে এই ব্যাটারের জবাবটাও মারকুটে।

হৃদয় সাহসভরা কণ্ঠে বলেন, 'আমার কাছে মনে হয়, শুধু সুপার এইটে না, আমরা সেমিফাইনাল ফাইনাল খেলার মতো দল। আমি এটা বিশ্বাস করি।'

ম্যাচে রান তাড়ায় প্রোটিয়া দলের সেরা পেসার অ্যানরিখ নরকিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত দুজনই। তাতেই ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। হৃদয় তবু মনে করছেন, তাদের শট ঠিকঠাকই ছিল। নরকিয়ার পেস কাজে লাগাতে এভাবেই খেলতে হতো।

Advertisement

এমনকি এই দুই ব্যাটারের ভুলে বাংলাদেশ রান তাড়ায় ধাক্কা খেয়েছে, সেটাও মানছেন না হৃদয়। বরং ৩৪ বলে ৩৭ করেও তিনি কেন নিজে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি সেই আক্ষেপ হার্ডহিটার এই ব্যাটারের।

১৩ রানের ব্যবধানে সাকিব আর শান্তর আউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বা হারের কারণ কিনা? এমন প্রশ্নে নিজের কাঁধে দায় নিয়ে হৃদয় বলেন, 'ম্যাচ হেরে গেছি আমার আউটে। আমি যদি ফিনিশ করে আসতাম, তাহলে হারতাম না। তারা তো আরও আগেই আউট হয়ে গেছে। আমিই তো লাস্ট পর্যন্ত ছিলাম ওখানে। আমার কাছে মনে হয় আজকের খেলাটা আমি পারতাম জেতাতে। আমি আউট হয়ে গেছি তাই পারিনি।'

এই ম্যাচটা বাংলাদেশ হারতে পারে কখনও মনে হয়েছে কিনা? জবাবে হৃদয় বলেন, 'না। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি ম্যাচটা হারতে পারি। যেটা বললাম, আমি যদি ফিনিশ করতাম, চিত্রটা ভিন্ন হতো। ঠিক আছে, এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।'

এমএমআর/এমআইএইচএস

Advertisement