আইন-আদালত

পি কে হালদারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

Advertisement

সোমবার (১০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন চার্জশিট আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০-সহ বিভিন্ন ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারার অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান অ্যানন কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে বিভিন্নভাবে ওই অর্থ একাধিক কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করেন।

আরও পড়ুনজামিন পেলেন পি কে হালদার

তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান গত ২৯ এপ্রিল পি কে হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি পি কে হালদারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলা করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, উজ্জল কুমার নন্দি, পূর্ণিমা রানী হালদার, রাজিব সোম, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ, নূরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, নূরুজ্জামান, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, জহিরুল আলম, আনোয়ারুল কবির, নওশেরুল ইসলাম, বাসুদেব ব্যানার্জি, রাশেদুল হক, সৈয়দ আবেদ হাসান, নাহিদা রুনাই, আল মামুন সোহাগ, রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও রফিকুল ইসলাম খান।

তাদের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবেদ হাসান ও ব্যবস্থাপক রাফসান রিয়াদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৯ জন পলাতক।

Advertisement

আরও পড়ুনপি কে হালদারের দুই সহযোগী কারাগারে

২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পি কে হালদার এবং তার ৮৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৫২টি মামলা দায়ের করে।

২০২৩ সালে অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের সাজা দেন ঢাকার আদালত। ২০২২ সালে ১৪ জুন পি কে হালদারকে তার চার সহযোগীসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করে দেশটির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতে অবস্থান করছেন।

জেএ/ইএ/জেআইএম