আল্লাহ তাআলা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি কুরআন নাজিল করতে শুরু করলেন, তখন ইয়াহুদিরা কুরআনের বিপরীতে জাদুবিদ্যা শিক্ষা লাভের পাশাপাশি বিশ্বনবির দরবারে বসে তাঁর আলোচনা শ্রবণ করতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনোযোগ আকর্ষন করতে তারা বিদ্রুপাত্মক শব্দ ব্যবহার করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতো। যা আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবির মাধ্যমে মুমিনদেরকে জানিয়ে দেন। আল্লাহ বলেন-হে মুমিন গণ! তোমরা (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য) ‘রায়িনা’ বলো না। বরং ‘উনযুরনা’ (আমাদের খেয়াল করুন) বল এবং (তাঁর নির্দেশ) শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৪)এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র ও বিদ্রুপমূলক শব্দ ব্যবহারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন। কারণ রায়িনা` (رَاعِنَا) অর্থ হলো আমাদের প্রতি খেয়াল করুন। বিশ্বনবির কোনো কথা কেউ বুঝতে না পারলে এ শব্দ ব্যবহার করে স্রোতা বক্তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করতো। বিশ্বনবির ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কিরামগণ এ শব্দ ব্যবহার করতো। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী ইয়াহুদি চক্র অন্যরকম পায়তারা শুরু করে। তারা এ শব্দের বিকৃত রূপ গ্রহণ করে, শব্দ বাড়িয়ে কমিয়ে উচ্চারণ করে তারা অবাধ্যতা ও বিদ্বেষের স্বাদ নিতো। বারবার রায়িনা (رَاعِيْنَا) বলে বেশি বেশি সম্বোধন করতো। তাদের বলা রায়িনার رَاعِيْنَا অর্থ হলো হে আমাদের রাখাল! যা ছিল শত্রুতা ও অপমানজক সম্বোধন।আল্লাহ তাআলা তাদের এ বিষয়টিকে স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে এ আয়াতে রায়িনার (رَاعِنَا) পরিবর্তে (اُنْظُرْنَا) উনজুরনা বলার নির্দেশ দেন। এতে তাদের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ থেকে বিশ্বনবির ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা পায় এবং সাহাবায়ে কিরামও এ ভুলের অবতারনা হওয়ার আশংকা থেকে মুক্তি পায়।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল বিপদ-আপদে কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের রহমত ও বরকত গ্রহনের তাওফিক লাভ করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement