একদিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষের ছবি-ভিডিও ধারণের সুযোগ দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজকের পর থেকে এজলাসকক্ষের কোনো স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
সোমবার (১০ জুন) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাস আধুনিকায়ন করে উদ্বোধন করা করা হয়েছে। এটি উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর এজলাস কক্ষে পুনরায় বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিশেষ অধিবেশনের গুরুত্ব বিবেচনা করে শুধু আজই এজলাস কক্ষের ছবি, ভিডিও ধারণের অনুমতি দিয়েছি। আজকের পর থেকে গণমাধ্যমে ধারণ করা এজলাস কক্ষের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো ছবি আপলোড করা যাবে না।
আজকের পর যদি কোনো গণমাধ্যমে ছবি, ভিডিও প্রকাশ করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা হয়— সেটা আদালত অবমাননার শামিল হবে। বিশেষ অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেন।
Advertisement
বিশেষ অধিবেশনে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ এএম আমিন উদ্দিন এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালত কক্ষের ছবি তোলা, ভিডিও করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এদিন প্রথমবারের মতো আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষের ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ, এমনকি লাইভ সম্প্রচার করার সুযোগ দেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় প্রধান বিচারপতির বিচারকক্ষে পাঁচজন সাবেক প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, আইনজীবীসহ রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এ সময় প্রধান বিচারপতির বিচারকক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, আইনজীবীসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম