কানাডায় যুবরাজ গয়াল নামক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে গয়ালকে গুলি করে হত্যার খবর পায় সারে পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন মনভীর বাসরাম (২৩), সারে শহরের বাসিন্দা হরকিরাত ঘুট্টি (২৩), সাহেব বসরা (২০) ও অন্টারিওর কেইলন ফ্রাঙ্কোইসের (২০) বিরুদ্ধে টার্গেট কিলিং ও ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুবরাজ গয়াল ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি কানাডার স্থায়ী বাসিন্দার (পিআর) মর্যাদা পেয়েছিলেন। সারেতেই একটি গাড়ির ডিলারশিপে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন ২৮ বছর বয়সী এই যুবক। তার বাবা রাজেশ গয়াল জ্বালানি কাঠের ব্যবসা করেন। আর মা শকুন গয়াল একজন গৃহিনী।
Advertisement
গ্লোবাল নিউজ আরও জানিয়েছে, গুলি করে হত্যার কিছুক্ষণ আগে গয়াল তার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে কথা বলেছিলেন। রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের বিরুদ্ধে আগে থেকে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এরপরও ঠিক কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সারের পুলিশ সার্জেন্ট টিমোথি পিয়ারোটি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিমকে (আইএইচআইটি)। ইন্টিগ্রেটেড ফরেনসিক আইডেন্টিফিকেশন সার্ভিস ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কম্বাইন্ড ফোর্সেস স্পেশাল এনফোর্সমেন্ট ইউনিট তদন্তকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এখনো অনেক অনুসন্ধান বাকি।
চলতি বছরের এপ্রিলেই কানাডার ভ্যানকুভারেও এক ভারতীয় যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। কানাডার পাশাপাশি গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রেও একাধিক ভারতীয় শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় খালিস্তানপন্থি নেতা ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নাগরিক হারদিপ সিং নিজ্জারকে (৪৫)। এই হত্যার ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এর মধ্যেই আবার আরেক পাঞ্জাবি যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটলো।
Advertisement
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ