প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বা শেষ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশের মতো। সব মিলিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম থেকে শেষধাপ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
Advertisement
সোমবার (১০ জুন) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সিইসি।
সিইসি বলেন, চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তা পঞ্চম ধাপে সম্পন্ন করতে হয়েছে। শেষ ধাপে সার্বিকভাবে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, দেশের ৪৯৫ টি উপজেলার মধ্যে ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে ভোট হয়েছে। এজন্য প্রশাসনে কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। স্বস্তিদায়কও হয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলাগুলো আইনি জটিলতা ও মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন হবে।
Advertisement
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ৮৭ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ দমমিক ২৪ শতাংশ। চতুর্থ ধাপে গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত ৬০ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
প্রথমবারের মতো স্থানীয় এ নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় ২০১৯ সালে। সে বছর ১০ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত পঞ্চম ধাপে ৪৫৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৮জন ভোটার, যা মোট ভোটের ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এবার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দেয়নি। বিএনপি ভোটে অংশ নেয়নি।
এমওএস/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement