দেশের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয়। তাই দেশের উত্তর (রংপুর ও রাজশাহী), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) ও মধ্যাঞ্চলে (ঢাকা ও ময়মনসিংহ) বৃষ্টি হচ্ছে ।
Advertisement
তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে প্রায় সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে অস্বস্তিকর গরম। টানা দীর্ঘ সময় ভারী বৃষ্টি না হলে এই গরম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে (বরিশাল ও খুলনা) বৃষ্টির প্রবণতা কম, তাই ওই অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ। আগামী কয়েক দিনও দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি আবার কোনো কোনো অঞ্চলে তাপপ্রবাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার সকালে ঢাকায় বজ্র-বৃষ্টি হয়েছে। কিছু সময় বৃষ্টি হলেও ঢাকায় কমেনি ভ্যাপসা গরম।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা ও বরিশাল ছাড়া সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়। ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন>
ভ্যাপসা গরমে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিআবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
Advertisement
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চাঁদপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
আরএমএম/এসআইটি/এএসএম