যত দিন গড়াচ্ছে দেশে নদীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে, জলাশয়সমূহ দখল হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ভূ-গর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে পুরো দেশ খরার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে এখন সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে দেশের কৃষিব্যবস্থা। এ অবস্থায় খরা মোকাবিলায় টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
Advertisement
রোববার (৯ জুন) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। একশনএইড বাংলাদেশ ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) চেয়ারম্যান ড. এ রব মোল্লা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, কৃষি হতে হবে কৃষকবান্ধব। প্রান্তিক কৃষকদের বাঁচাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ভূমির দূষণ নিয়ন্ত্রণ, উর্বরতা বৃদ্ধি, মরুময়তা রোধ করা এবং জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত করার মাধ্যমে ভূমির সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। আগামী ৫০ বছর পর কি প্রভাব পড়তে পারে তা বিশ্লেষণ করে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন>
বাংলাদেশের হাওর ও জলাভূমিগুলো অপার সম্ভাবনার আধারএসময় দেশের খরাপ্রবণ এলাকাগুলো ‘সংকটময় এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ যাই বলি পুরো দেশেই মরুময়তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশে একসময় ৮শ'র অধিক নদী ছিল। সিংহভাগ নদী শুকিয়ে গেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের ভূমি, আমাদের ভবিষ্যৎ। বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে আমরা খরা মোকাবিলা করছি। আমাদের ফ্লোটিং অ্যাগ্রিকালচার অনেক দেশে অনুসরণ করছে। তবে জলবায়ুর প্রভাবে কৃষিকে আরও টেকসই করার সুযোগ রয়েছে।
একশনএইডের অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা তাজবিহা দেওয়ান কবির সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, একশনএইড বাংলাদেশ, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম), খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ, খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক, কেন্দ্রীয় কৃষি মৈত্রী এবং বাংলাদেশ অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচার নেটওয়ার্কের (বিওএন) কর্মকর্তারা।
Advertisement
আরএএস/এসআইটি/এএসএম