মন্দা শেয়ারবাজারে নতুন করে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ করায় শেয়ারবাজারের দুর্দশা আরও বেড়ে গেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পর প্রথম কার্যদিবস রোববার পতনের পর, দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে ক্রেতা সংকটে পড়েছে শতাধিক প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
এতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খারাপ। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্ট কমে গেছে। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় তিন'শ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততোটাই কমেছে।
দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের বিপুল সংখ্যক বিক্রয় আদেশ রয়েছে। বিপরীতে শূন্য হয়ে পড়েছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ব্যর্থ হচ্ছেন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে মূল্য সূচকও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়ে এই ধারা অব্যাহত থাকে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫৫ পয়েন্ট কমে যায়।
তবে এরপর কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সূচকের পতন মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৪ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭২টির। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৫১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির।
Advertisement
এমএএস/এমআরএম/এএসএম