অর্থনীতি

চট্টগ্রামবাসীর জন্য ‘নতুন কিছু’ নেই বাজেটে

বরাদ্দ রাখা হয়নি কালুরঘাট দ্বিতীয় সেতু প্রকল্পে চসিকের চেয়ে সিডিএকে অগ্রাধিকার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে চট্টগ্রামের ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৭ হাজার ৫০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যে সব প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার প্রায় সবই চলমান। নতুন কিছু নেই বললেই চলে।

Advertisement

বাজেট বিশ্লেষণে জানা যায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা বেশিরভাগ প্রকল্পই চলমান। চট্টগ্রামের সবচেয়ে আলোচিত কালুরঘাট নতুন সেতুর জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বরাদ্দ রাখা প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ, মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন এবং দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বরাদ্দের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশনের চেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বাজেটে বরাদ্দ রাখা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নাধীন পাঁচ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পে ৩ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ৮ প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিডিএর ছয় প্রকল্পের জন্য রাখা হয় ২ হাজার ২৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ১১ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই প্রকল্পে ৬০০ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পাঁচ প্রকল্পে রাখা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপনা প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে ১ হাজার ১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

Advertisement

বাজেট বিষয়ে কথা হলে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার এ মুহূর্তে চলমান অর্ধসমাপ্ত কিংবা অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাইবে। যে কারণে এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর জন্য বরাদ্দ না রাখাটা সমীচীন হয়নি। কারণ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে এরই মধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়ে গেছে। নতুন কালুরঘাট সেতু না হলে এ বিনিয়োগের সুফল পাওয়া যাবে না। যে কারণে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণে ন্যাশনাল প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত।’

মাতারবাড়ী ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন চট্টগ্রাম জোন (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৩১৭ কোটি টাকা, ‘মাতারবাড়ী ২*৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৬ হাজার ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ‘মদুনাঘাট-ভুলতা ৭৬৫ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্ট্রেনদেনিং প্রকল্পে’ ১৮৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ৭৪০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনবাড়তি করের চাপে আবাসন খাতকালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিবিরোধী নীতির সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’সংকটেও গরিবের স্বার্থ রক্ষা-উন্নয়ন অব্যাহত রাখার বাজেট

বাজেটে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অংশ) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১ হাজার ১০০ কোটি এবং ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশ) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ২ হাজার ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত) (৪র্থ সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা, ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা, ‘প্রিপারেশন অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পে’ ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং ‘চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন গুচ্ছ প্রকল্প-১’ প্রকল্পে ৩৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পে ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ‘চট্টগ্রামের ৩৬টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (১ম সংশোধিত প্রকল্পে)’ ১৮০ কোটি ৬ লাখ টাকা টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসাস্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার ‘ভান্ডালজুরী পানি সরবরাহ প্রকল্পে (২য় সংশোধিত)’ থোক বরাদ্দ ৫২ কোটি এবং ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েচে ৫৪৮ কোটি টাকা।

একইভাবে চসিকের ‘বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পে ২ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ২ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ’ প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা, ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পে ১০১ কোটি টাকা এবং ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ প্রকল্পে ১৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে’ ১২ কোটি টাকা, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে’ ৯১ কোটি এবং ‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে’ ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

রেলপথরেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১৪৫৩ কোটি এবং ‘চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটার গেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজ রেলপথ রূপান্তর প্রকল্পে’ ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে ঘোষিত বাজেটে।

চট্টগ্রামে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পচট্টগ্রামে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১৪৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ‘চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় সাঙ্গু এবং ডলু নদীর তীর সংরক্ষণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৭৫ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম জেলাধীন রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী ও ইছামতি এবং শিলক খালসহ অন্য খালের উভয় তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৮০ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে’ ২৫০ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পে’ ২৬০ কোটি টাকা, ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই খালে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পে’ ৬২ কোটি ২৫ লাখ এবং ‘চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পোল্ডার নম্বর-৭২ এর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের স্থায়ী পুনর্বাসনসহ ঢাল সংরক্ষণ প্রকল্পে’ ৭৬ কোটি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগসড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ‘চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, ‘আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ (শিকলবাহা-আনোয়ারা অংশ) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৭৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পে ৪৭ কোটি ৯ লাখ এবং ‘চাতুরি চৌমুহনী- সিইউএফএল- কর্ণফুলী ড্রাইডক মেরিন একাডেমি-ফকিরনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে’ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কৃষি ও পর্যটনবাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পে’ ১৫০ কোটি টাকা, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিদ্যামান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পে ২১ কোটি ৭০ লাখ এবং ‘চট্টগ্রামস্থ পারকিতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

তাছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ রাসেল এভিয়ারী অ্যান্ড ইকো পার্ক রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম ২য় পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১৯ কোটি ৪৭ লাখ, ‘মহামায়া ইকোপার্কের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রতিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে’ ১ কোটি ৭২ লাখ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্রে উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ৭ কোটি টাকা।

৬ জুন ঘোষিত হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।

এমডিআইএইচ/এএসএ/জেআইএম