অর্থনীতি

ঢাকার হাটে গরু উঠলেও বিক্রি নেই, যাচাই করছেন ক্রেতারা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশু তোলা শুরু হয়েছে। এতে ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমনও বেড়েছে। বিক্রি না হলেও গরু যাচাই-বাছাই করছেন ক্রেতারা। এদিকে কয়েকটি হাটে এখনো চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। রোববার (৯ জুন) সরেজমিন রাজধানীর শাহজাহানপুর ও মেরাদিয়া পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ গাড়ি গরু এসেছে। জামালপুর থেকে আসা এ বাজারের ব্যাপারী বোরহান জাগো নিউজে বলেন, আমরা আগেই বাজারে গরু নিয়ে এসেছি। আমাদের সঙ্গে কয়েকশ গরু আছে। আমরা বাজারের ভালো জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখছি, বাকি গরু এলে সেগুলোও এখানে রাখা হবে।

বাজারে ক্রেতা আসছে কিন্তু বিক্রি হয়েছে কি না জানতে চাইলে কুষ্টিয়া থেকে আসা গরু ব্যাপারী আমজাদ জাগো নিউজকে বলেন, এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা বাজার যাচাই করে দেখছেন।

মেরাদিয়া বাজারে মেহেরপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মতিয়ার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এবার গরুর দাম বেশি হবে। বছরের শুরু থেকেই গরুর খাবারের দাম বেশি। তাছাড়া আমাদের খরচ আছে, গরু আনার ভাড়া বেশি। সব মিলিয়ে দরদামের ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি চাইতে হবে।

Advertisement

বিক্রি না হলেও আগেই বাজারে গরু আনার বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার ব্যাপারী শফিক জাগো নিউজকে বলেন, মূল বাজারে দুই দিন আগে থেকে যেতে পারবো। তবে বাজারের ভালো জায়গা যেখানে ক্রেতা বেশি আসবে সেটা ধরে রাখতেই কিছু গরু আগেই নিয়ে এসেছি। আমার এলাকা থেকে অন্যরাও আসবে, তাদের জন্য জায়গা রাখছি আমরা।

অন্যদিকে এখন বাজারের প্রস্তুতি চলছে। পুরো কাজ শেষ হয়নি, হাসিল ঘরের কাজও চোখে পড়েনি।

শাহজাহানপুর বাজারের পশুর ট্রাকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাবলা জাগো নিউজকে বলেন, রাত-দিন কাজ চলছে। মূল বাজারে যেহেতু দুই দিন আগে গরু উঠবে, তার আগেই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি এলাকায় এবার বসছে ২০টি কোরবানির পশুর হাট। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটির সারুলিয়া স্থায়ী হাটসহ ১১টি এবং উত্তর সিটির গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি। হাটে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল।

Advertisement

ইএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম