দেশজুড়ে

কুষ্টিয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১২

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দারপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে কবুরহাট এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে থাকেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে এমন তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় পুলিশ লক্ষ্য করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ৩০ মিনিট চলা এ সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের তৎপরতায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নিপীড়িত নেতাকর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় এলে তাদের নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম।

Advertisement

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। ছোট পরিসরে অন্য কোথাও করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে অবস্থিত যুবদল নেতা মজিদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে।

এসময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরই পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ১০-১২ জন আহত হন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, অনুমতি ছাড়াই বিএনপি কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। কর্মসূচিস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল তা আমরা নিয়েছি।

Advertisement

আল-মামুন সাগর/এনআইবি/জেআইএম