আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কায় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবেন আদানি

শ্রীলঙ্কায় বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। এটি দ্বীপ রাষ্ট্রে কোনো বিদেশি গ্রুপের বৃহত্তম একক বিনিয়োগ। তাছাড়া এটিই হতে চলেছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প।

Advertisement

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার মান্নার শহর ও পুনেরিন গ্রামে ৭৪ কোটি ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি ৪৮৪ মেগাওয়াটের ইনস্টল ক্ষমতাসহ দুটি বায়ু খামার স্থাপন করবে আদানি গ্রুপ। আর পাওয়ার ট্রান্সমিশন অবকাঠামোবাবদ আরও ২৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

আদানির এই প্রকল্পটি কৌশলগতভাবেও খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভারত মহাসাগরে চীনের অর্থনৈতিক প্রভাবকে সীমিত করবে। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলে চীনের সামরিক, বাণিজ্যিক বা গোয়েন্দা উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতকে সহায়তা করবে। এই অঞ্চলটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি এরই মধ্যে লঙ্কান মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে ও একটি ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এর পরেই দীপরাষ্ট্রটিতে কাজ শুরু করবে ভারতীয় জায়ান্ট।

Advertisement

বলা হচ্ছে, প্রকল্পটি শ্রীলঙ্কার শক্তি সুরক্ষা ও অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে। এখান থেকে প্রতি বছর দেড় হাজার মিলিয়ন ইউনিট পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপন্ন হবে যা প্রায় ৬ লাখ পরিবারের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে। তাছাড়া প্রকল্পটি ১২০০ স্থানীয় বাসিন্দার কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে। এমনকি, এই প্রকল্পের ফলে ২৭ কোটি ডলার মূল্যের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে যাবে, যার ফলে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ১৬ লাখ টন কমবে।

২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় তীব্র লোড শেডিং ও জ্বালানির ঘাটতিতে ভুগেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটি এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের বিদ্যুৎখাত পুনর্গঠনে ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষিত করতে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেছে শ্রীলঙ্কা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে পাওয়া ২৯০ কোটি ডলার সহায়তার বিপরীতে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নতুন এই আইন করেছে লঙ্কান সরকার। যাতে রাষ্ট্র-চালিত বিদ্যুৎ কোম্পানি সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের (সিইবি) ক্ষতি কমানো যায় ও বিদ্যুৎ খাতটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব হয়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Advertisement

এসএএইচ