দেশজুড়ে

বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বামজোটের বিক্ষোভ

বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ করেছে বামজোট। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে গাইবান্ধা শহরে ১নম্বর রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় বাজেট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন তারা।

Advertisement

বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ গাইবান্ধা জেলার সম্পাদক কমরেড রেবতি বর্মণ।

বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলার আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব কমরেড সুকুমার মোদক সিপিবির জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুরাদ জামান রব্বানী, সদস্য আব্দুল্লাহ আদিল নান্নু, বাসদের (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য কমরেড নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকার প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করেছে যার সিংহ ভাগ আসবে এদেশের সাধারণ, শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে। সেই মানুষদের জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা নেই তারা শুধু টাকা জোগাবে আর ভোগ করবে ধনীরা। এই বাজেটে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সামাজিক সুরক্ষায় যৎসামান্য বরাদ্দ দিলেও বরাদ্দ বেড়েছে জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা খাতে।

Advertisement

এছাড়া বিদেশি ঋণনির্ভর বাজেটে কী করে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক লেনদেনের বিপুল ঘাটতি, রিজার্ভ ক্ষয়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলা করা হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই।

তারা আরও বলেন, আজিজ-বেনজীর-আনার হত্যাকাণ্ডসহ দুর্নীতির যে ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। অথচ বাজেট প্রস্তাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। বৈধ আয়ে ৩০ শতাংশ কর আর সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে সমাজে দুর্নীতি ও বৈষম্য বেড়ে যাবে।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে এ গণবিরোধী বাজেট প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

এনআইবি/এএসএম

Advertisement