ঈদ যাত্রার সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের টিকিটের তুলনায় অতিরিক্র যাত্রী চাহিদা থাকায় অনেকে অনালাইনে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগেই বাড়ি যেতে শুরু করেছেন।
Advertisement
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি ফেরার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২ জুন থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় আর শেষ হয় ৬ জুন। যারা শেষ দিন টিকিট ক্রয় করেছেন তারা আগামী ১৬ জুন ভ্রমণ করতে পারবেন।
এদিকে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হবে। গত কয়েক বছর ধরে ঈদযাত্রার সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে৷
আরও পড়ুন:
Advertisement
শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা ফিরছেন আবার অনেকে ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরছেন। তবে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশই গৃহিনী ও শিক্ষার্থী। মূলত যাদের ঢাকায় তেমন কোনো কাজ নেই ভোগান্তি এড়াতে তারাই আগে বাড়ি যাচ্ছেন।
কয়েকজন যাত্রী জানান, ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট কাটতে একাধিকবার রেলের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও তারা টিকিট কাটতে পারেননি। টিকিট না পাওয়ায় ঈদের কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরতে গেলে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হবে৷ তাই এখন যাত্রীর চাপ কম থাকা ও সহজেই টিকিট পাওয়ায় তারা বাড়িতে যাচ্ছেন।
রাজধানীর পল্টন এলাকায় স্বামী ও দুই বছরের ছেলে সন্তান নিয়ে থাকেন সুমি আক্তার। তিনি নিজে গৃহিনী আর স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত৷ তিনি বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাবেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ট্রেন৷ চেষ্টা করেও ঈদের টিকিট পাই নাই। ঈদ সামনে রেখে যেতে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ঢাকায় তেমন কোনো কাজ না থাকায় আগেই চলে যাচ্ছেন। হজেই টিকিট কাটতে পেরেছেন৷ কষ্ট কম হলো, আবার পরিবারের সঙ্গে বেশ কিছুদিন থাকাও হলো।’
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রী শাকিল বলেন, ‘আমি স্টুডেন্ট৷ এখন ক্লাস-পরীক্ষা নেই। তাই আগেই বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ির বড় ছেলে হওয়ায় প্রতিবার কোরবানির গরু কেনার সময় আমি বাবার সঙ্গে থাকি৷ দুই-তিন দিন পর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে৷ তাই আজ বাড়ি চলে যাচ্ছি।’
Advertisement
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। ২ জুন থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল৷ যারা ঐ দিন টিকিট কিনেছেন তারা ১২ জুন ভ্রমণ করবেন। অনেকে ঈদের আগেই বাড়ি যাচ্ছেন। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এনএস/এসএনআর/এএসএম