আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে সিআইডির হাতে মুহাম্মদ সিয়াম গ্রেফতার

দিনভর অনেক নাটকের পর শুক্রবার (৭ জুন) রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি জানিয়েছে, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মুহাম্মদ সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বনগাঁ অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

শুক্রবার রাতে সিআইডির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভোলা জেলার বুরহাদ উদ্দিন গ্ৰামের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ সিয়াম। তার বয়স ৩৩ বছর বয়স। সিয়ামের বাবার নাম আলাউদ্দিন বালি। ঝিনাইদহ -৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর বনগাঁ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়েছিল সিয়াম।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৮ জুন) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হতে পারে সিয়াম হোসেনকে। এমপি আনার হত্যাকান্ডে প্রধান অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের দুই সহযোগী সিয়াম হোসেন ও জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হলো। এখন বাকি রইলো প্রধান অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন।

এমপি আনারকে হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর গত ২৩ মে জিহাদ হাওলাদারকে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি সিয়াম হোসেনের নাম জানতে পারে।

Advertisement

এরপর থেকেই সিআইডির কর্মকর্তারা সিয়ামের খোঁজে মাঠে নামে। কখনো শোনা গেছে সিয়াম হোসেন ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে গা ঢাকা দিয়ে আছে। আবার কখনো শোনা গেছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য এবং বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মুজাফফরপুরে অবস্থান করছে সে। পরবর্তীতে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় মুহাম্মদ সিয়ামকে।

শুক্রবার (৭ জুন) জিহাদ হাওলাদারকে বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারপতি শুভঙ্কর বিশ্বাস ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২১ জুন ধার্য করেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: ফের ২ দিনের সিআইডি হেফাজতে জিহাদ হাওলাদার এমপি আনার হত্যা/এবার নৌ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর অভিযানেও মিললো না দেহাংশ

জিহাদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে সিআইডি ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৩৬৪,৩০২,২০১ এবং ১২০বি ধারায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রত্যেকটিতে জামিন অযোগ্য মামলা দেওয়া হয়েছে। ৩৬৪ ধারা অর্থাৎ হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ, ৩০২ অপরাধমূলক নরহত্যা, ২০১ তথ্য লোপাট, অর্থাৎ চক্রান্ত করে অস্ত্র ও মরদেহ সরিয়ে ফেলা এবং ১২০বি ধারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা (একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে)।

ডিডি/টিটিএন

Advertisement