২০ ওভারের খেলা শেষ। একই সঙ্গে শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে মাঠ ত্যাগ করছিলেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের খেলোয়াড়রাও। ক্যামেরা পুরোপুরি নিবদ্ধ মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর। হঠাৎ দেখা গেলো মুস্তাফিজের সামনে চলে আসলে ডেভিড ওয়ার্নার। মুস্তাফিজের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেছন দিকে হাঁটছেন আর হাত তালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য।সানরাইজার্স হায়দারাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়কের কাছ থেকে এমন অভাবনীয় অভিবাদন পাওয়ার নিশ্চিত কারণ আছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে বোলাররা একের পর এক মার খেয়ে চোখে-মুখে ধুলো দেখতে শুরু করে, সেখানে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান যদি একজন বোলার দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিপক্ষের কী অবস্থা হতে পারে!তেমনটিই করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সানরাইজার্সের জন্য কতবড় সম্পদে পরিণত হয়েছেন তিনি, তা যেন বলার বাইরে। কারণ, শেষ দিকে ডেথ ওভারগুলোকে যেখানে প্রতিটি দলই লক্ষ্যবস্তু বানায় যে, পিটিয়ে রান তুলবে, তখনই মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসে সানরাইজার্স। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই পুরো তিনটি ওভার ওই সময় মুস্তাফিজের হাতে বাকি থেকে যায়। সুতরাং, ডেথ ওভারে বোলার নয়, ব্যাটসম্যানরাই ডেড। রান নেয়াই যেন তাদের জন্য রীতিমত এক দুরহ কাজ হয়ে দাঁড়ায়।প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে। এসে তুলে নিলেন মেডেন ওভার। এই ওভারে আবার রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হলেন ম্যানন ভোরা। এরপর তাকে তুলে রাখলেন ডেভিড ওয়ার্নার, ডেথ ওভারের জন্য। ফেরালেন ১৪তম ওভারে। এই ওভারে দিলেন ১ রান। নিলেন ১ উইকেট। আউট হলেন শন মার্শ। ১৬তম ওভারে আবারও এলেন। এবার উইকেট পেলেন না। তবে রান দিলেন মাত্র ২টি। ইনিংসের শেষ ওভারে আসেন তিনি। পিটিয়ে রান তুলতে থাকা অক্ষর প্যাটেল তার কাছ থেকে নিলেন মাত্র ১ রান। অন্যরা নিলেন ৫ রান। মোট ৬ রান। ৪ ওভার শেষে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার দাঁড়ালো ৪-১-৯-২। কী অসাধারণ বোলিং ফিগার। কতটা কৃপণ তিনি। টি-টোয়েন্টি, তারওপর আইপিএল। এখানে এসে ৪ ওভার অথ্যাৎ ২৪টি বল করে দিলেন মাত্র ৯ রান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই মাত্র ১৪৩ রানে থমকে গেলো কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। যে কারণে শুধু ডেভিড ওয়ার্নারই নয়, মুস্তাফিজকে অভিবাদন জানালেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের খেলোয়াড়রাও।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement