শিক্ষা

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান দেশের ৩১ শতাংশ তরুণ

উচ্চশিক্ষা শেষে তরুণ-তরুণীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান। সঙ্গে চান মর্যাদাশীল কর্মক্ষেত্র। এক্ষেত্রে বিসিএসসহ সরকারি চাকরির দিকে বেশি নজর শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন এমন তথ্য জানা গেলেও তা পাল্টেছে। এখন বিসিএসসহ সরকারি চাকরির চেয়েও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের বেশি আগ্রহ বিদেশে পাড়ি জমানোর দিকে।

Advertisement

দেশের সরকারি-বেসরকারি দুই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরই ক্যারিয়ার ভাবনার একেবারে প্রথম দিকে স্কলারশিপ (বৃত্তি) নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানো। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে উঠেছে এসেছে এমন তথ্য। সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এ জরিপ করে।

জরিপের তথ্যানুযায়ী, অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা, কাজ ও সেখানে স্থায়ী হতে বিদেশ যেতে চান। ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী দেশে থেকে ক্যারিয়ার হিসেবে বিসিএসে ক্যাডার বা ভালো সরকারি চাকরি করতে চান।

ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর মাত্র ৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি চাকরি করতে চান। বাকিরা এখনো ক্যারিয়ার স্থির করতে পারেননি।

Advertisement

আঁচল ফাউন্ডেশনের রিচার্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, জরিপকালে আমরা চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছি। অন্য সময়ে বিসিএস ক্যাডার এবং সরকারি চাকরির প্রতি শিক্ষার্থীদের বেশি আগ্রহ দেখা যায়। এখন তাতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েট কিংবা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শেষে দেশে চাকরি করার চেয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

তিনি জানান, জরিপকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বোঝা গেছে, তারা অর্থনৈতিক ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমানোয় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয়ও তাদের মধ্যে কাজ করছে বলে মনে হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম—দেশে চাকরির বাজারে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও চাকরি পাওয়ার অনিশ্চয়তা।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউমেনিটিজ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ওবায়দুল্লাহ আল মারজুক, কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য প্রকল্প এডিডি ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।

এএএইচ/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement