দ্রব্যমূল্যের ওপর যাতে কোনো চাপ না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
Advertisement
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ব্যাংকে তারল্য সংকটের সময় বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, এতে ব্যাংকে তারল্য সংকট হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া এটা সব বাজেটেই সব অর্থমন্ত্রীরা করে থাকেন। সব সরকার করে থাকেন। উন্নত দেশগুলো আরও অনেক বেশি নিয়ে থাকে, আমরা তো মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে এটা ধরে রেখেছি। কাজেই এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
মূল্যস্ফীতির এসময়ে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা একই রেখেছেন- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমি বাজেট বক্তব্যে বলেছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। দেখা যাক চেষ্টা তো করতে হবে। এবার আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো চাপ না পড়ে।
আরও পড়ুন:
বাজেটের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না: সিপিডি যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারেঅর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন নেবো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জনবল বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, জনবল নিয়োগের বিষয়ে এনবিআর থেকে চিঠি এসেছিল। আমরা জনবল বৃদ্ধি করেছি। আশা করছি সামনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
Advertisement
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিষয়টি শুরু হয়েছে। অর্থবিভাগ থেকে আমরা জনবল নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছি।
সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে বাজেটে কোনো উদ্যোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সুনীল অর্থনীতির গবেষণায় ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএএস/জেডএইচ/এমএস