টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় বোলারদের মৃত্যুকুপ। একজন বোলার বল করারই সুযোগ পান মাত্র ৪ ওভার। এই ৪ ওভারে একের পর এক বোলারকে তুলোধুনো করে ছাড়েন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটও বানানো হয় যেন বোলারদের পিটুনি খাওয়ার উপযোগি করেই।তবে সমযের সাথে সাথে বোলাররাও আবিষ্কার করে ফেলেছে নিজেদের রক্ষা করার পদ্ধতি। যে কারণে দেখা যায়, বোলাররাও ছড়ি ঘোরাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ওপর। অনেক বোলারই নিজেদের প্রমাণ করেছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে।তবে যত যাই হোক, টি-টোয়েন্টিতে মেডেন ওভার নেয়া যেন এক দুঃস্বপ্ন। যখন ব্যাটসম্যানরা প্রস্তুত থাকে প্রতিটি বলেই চার-ছক্কা মারার জন্য, তখন মেডেন তো কল্পনাতেই আনা যায় না। আর যদি সেটা হয়, আইপিএলে, তাহলে তো কথাই নেই।তবুও মুস্তাফিজের মত বোলাররা পারেন মেডেন নিতে। পুরো এক ওভারে প্রতিপক্ষকে কোন রান না দিতে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মুস্তাফিজকে বল করতে আনা হয় ৬ষ্ঠ ওভারের সময়। এ সময় তাকে মোকাবেলা করেন ম্যানন ভোরা। পুরো ৬ বল মুস্তাফিজের বলকে সমীহ করে খেলতে হয়েছে তাকে। যে কারণে একটি রানও নেয়া সম্ভব হয়নি এবং ওভারটা মেডেন পেয়ে গেলেন বাংলাদেশের পেস সেনসেশন। মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বোলার ছিলেন মইসেস হেনরিক্স।তবে এবারের আইপিএলে মুস্তাফিজ প্রথম নন। মেডেন নিয়েছেন আরও কয়েকজন বোলার। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবেরই সন্দ্বীপ শর্মা, কেকেআরের ব্র্যাড হগ, দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের জহির খান, গুজরাট লায়ন্সের ধাওয়াল কুলকার্নি, কেকেআরের জন হাস্টিংস পেয়েছিলেন ১টি করে মেডেন ওভারের দেখা।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement