অর্থনীতি

লন্ড্রি সেবায় ভ্যাট আরও বাড়লো

 

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

Advertisement

এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

রাজস্ব আয় বাড়াতে এবার অনেক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তেমনি একটি লন্ড্রি সেবা। যান্ত্রিক লন্ড্রির মাধ্যমে লন্ড্রি সেবা নিতে এবার খরচ আরও বাড়বে। আগে বড় বড় লন্ড্রি দোকানে বিলের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। এবারের বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তাই খরচ বাঁচাতে ঘরেই কাপড়চোপড় ধোয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নেবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে যা ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।

Advertisement

চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সংস্থান হবে দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করেছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা আছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগের (২০২২-২৩) অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

এমএমএআর/এমএস

Advertisement