মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ যাতে না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি।
Advertisement
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া স্ট্যান্ডার্ড প্রসেসিং। ঘাটতি মেটাতে সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি কমবে। সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রেসার না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, আমরা নেবো। আশা করি মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হয়। আমরা মনে করেছি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব না। এ কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যাংক ঋণের সঙ্গে ব্যাংকের টাকা সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই।
৬ জন মন্ত্রী, একজন উপদেষ্টা, দুইজন প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে অর্থমন্ত্রীর ডানপাশে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারকে রেখেছেন।
আর মঞ্চে অর্থমন্ত্রীর বামপাশে বসেছেন স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে শুরুতে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিয়ে সেসবের উত্তর দেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এমএএস/এমএইচআর/এএসএম