বর্ণিল আয়োজনে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ শিরোনামে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় রাজধানীর হাতিরঝিলে এ প্রতিযোগিতা হয়। ৪টি ক্যাটাগরিতে নারী ও পুরুষ অ্যাথলেটরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতার ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ব্যাপ্তিকালে ৫০ ঊর্ধ্ব নারীদের ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন ইরি লি কৈকি। তিনি ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
Advertisement
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় পিবিআই প্রধান এবং পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি সহ আয়োজক কমিটির ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
হাতিরঝিলে শুক্রবার জয় বাংলা ম্যারাথন, অংশ নেবেন ৩৫০০ দৌড়বিদ রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে যান চলাচল বন্ধ হাতিরঝিলে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’, দৌড়াচ্ছেন ৩৫০০ দৌড়বিদপুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন
১৬-৫০ বছর বয়সী পুরুষ ক্যাটাগরিতে
প্রথম হয়েছেন আল আমিন। তিনি ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট ৯১ সেকেন্ডে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
দ্বিতীয় হয়েছেন আসিফ বিশ্বাস। তিনি ১ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
Advertisement
তৃতীয় হয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিটি ৯ সেকেন্ডে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
চতুর্থ হয়েছে মো. সোহানুর রহমান। তিনি ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
পঞ্চম হয়েছেন মো. ফরিদ মিয়া। তিনি ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেন।
৬ষ্ঠ মো. এলাহী সরদার। তিনি ১ ঘণ্টা ১৮ মি. ৩০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৭ম মো. ইমরান হাসান। তিনি ১ ঘণ্টা ১৮ মি. ৪৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৮ম মাহাবুর রহমান হৃদয়; তিনি ১ ঘণ্টা ২০ মি. ২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৯ম মো. নাজিমুল হক; তিনি ১ ঘণ্টা ২০ মি. ৫০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
১০ম সোহেল রানা। তিনি ১ ঘণ্টা ২৫ মি. ১০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
১৬-৫০ বছর বয়সী নারী ক্যাটাগরিতে১ম পাপিয়া খাতুন; তিনি ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিটি ৩৮ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
২য় লাপিয়া খাতুন; তিনি ১ ঘণ্টা ৪২ মি. ৩৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৩য় প্রীতি আক্তার; তিনি ১ ঘণ্টা ৪৬ মি. ২০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৪র্থ রিংকি বিশ্বাস; তিনি ১ ঘণ্টা ৪৭ মি. ৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫ম মোসা. প্রিয়া; তিনি ১ ঘণ্টা ৫০ মি. ৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৬ষ্ঠ মোসা. সামিয়া; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৩ মি. ৩৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৭ম অনন্যা বিশ্বাস; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৪ মি. ৫১ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৮ম স্মৃতি আক্তার; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৭ মি. ৫২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৯ম মুন্নি কর্মকার; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৮ মি. ৪৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
১০ম রিয়া আক্তার; তিনি ২ ঘণ্টা ১ মি. ১২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫১ বছর ঊর্ধ্বে পুরুষ ক্যাটাগরিতে১ম জসিম উদ্দিন আহাম্মেদ; তিনি ১ ঘণ্টা ২৯ মি. ৫৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
২য় মো. ওহাব খান; তিনি ১ ঘণ্টা ৪৫ মি. ০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৩য় আমিনুর রহমান; তিনি ১ ঘণ্টা ৪৪ মি. ২৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৪র্থ বাবর উদ্দিন; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৬ মি. ৪৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫ম মো. পেরুল ইসলাম; তিনি ১ ঘণ্টা ৫৯ মি. ৪০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫১ বছর ঊর্ধ্বে নারী ক্যাটাগরিতে১ম ইরি লি কৈকি; তিনি ২ ঘণ্টা ২০ মি. ৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
২য় শাহ্ তামান্না সিদ্দিকী; তিনি ২ ঘণ্টা ৪০ মি. ৫৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৩য় আয়েশা মুন্নি; তিনি ২ ঘণ্টা ৫৬ মি. ২৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৪র্থ ডা. শাহ্ ফাহমিদা সিদ্দিকী ; তিনি ৩ ঘণ্টা ৩ মি. ৩৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫ম জেসমিন আক্তার; তিনি ৩ ঘণ্টা ১২ মি. ৪৭ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজ ম্যারাথনের মাধ্যমে পুলিশ দেখিয়ে দিলো যে, পুলিশ সবই পারে। করোনার সময় মা সন্তানকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে। দাফন করতেও আসেনি। এমন অসহায় অবস্থায় পুলিশ তাদের পাশে ছিল। যেখানেই যা প্রয়োজন পুলিশ জনগণের সহযোগিতা করেছে। পুলিশ মানুষকে এক প্ল্যাপফর্মে এনে স্পোর্টসের মাধ্যমে একত্রিত করার দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব একটি অসাধারণ ম্যারাথন আয়োজন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত প্রশংসার। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম ৬ দফা দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে।
তিনি সফল ম্যারাথন আয়োজনের জন্য পিবিআই প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার এবং ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪ প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
টিটি/এমআইএইচএস/এমএস