শিক্ষা

শিক্ষায় টাকার অংকে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে কমেছে

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু হয়।

Advertisement

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে সরকার। যা এবারের মোট বাজেটের প্রায় ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে টাকার অংকে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

আরও পড়ুনশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়লো ৬ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা

অন্যদিকে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

Advertisement

যে কোনো দেশের শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার পরামর্শ ইউনেস্কোর। দেশের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ তার চেয়েও অনেক কম।

টাকার অংকে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট ৬ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ মিলিয়ে ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগের বছরে ছিল ৮৮ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনসর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন নতুন সরকারি চাকরিজীবীরা

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকরা সহায়ক হবে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগর। আমাদের মূল লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। শৈশব থেকেই প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে এ ধারণাকে প্রোথিত করে দিতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিবেচনায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক ধাপেই প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

এএএইচ/এমকেআর