অর্থনীতি

কর হ্রাসের প্রস্তাব বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করবে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে স্বগত জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস, এবং বাজারের সরবরাহের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। যা অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানায় এফআইসিসিআই। এসময় তারা বাজেট উপস্থাপনের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ আলীকে ধন্যবাদ জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস, এবং বাজারের সরবরাহের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। যা অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে।

সংস্থাটি আরও বলছে, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে কঠোর মুদ্রানীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ করা হয়েছে। যাতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সঞ্চয়কে উৎসাহিত করা যায়। এছাড়া প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ এবং শিল্প উৎপাদন ১৫ শতাংশ বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তবে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় আনা উচিৎ ছিল। এই বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- এর ব্যবসাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি, যা ভোক্তাদের জন্য খরচ কমানোর ওপর ফোকাস করে।

তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস প্রশাসনের অটোমেশনের জন্য কোনো বরাদ্দ বা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করে এফআইসিসিআই।

তারা বলছে, এ ধরনের সংস্কারের অভাবে ভ্যাট ক্রেডিট সম্পর্কিত জটিলতা এবং ব্যবসার ওপর সম্ভাব্য আর্থিক চাপ অব্যাহত থাকবে। ভ্যাট প্রক্রিয়াগুলো সরল করতে এবং ব্যবসার ওপর প্রশাসনিক বোঝা কমাতে ধারাবাহিক সংস্কার প্রয়োজন।

জেডএইচ/জেআইএম

Advertisement