২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকখাত থেকে যে বড় ধরনের ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে তা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক মন্তব্য করে জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন তিনি।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মন্তব্য দিতে গিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার একটি কঠিন সময়ে বাজেট পেশ করেছে। আকার ছোট করা হয়েছে। এটা ভালো দিক। তারপরও বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকখাত থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়ার কারণে মুদ্রা বাজারে অনেক বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সুদের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে তারল্য সংকট।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকখাত এখন দুর্বল। এমন অবস্থায় সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঘাটতি মেটানোর জন্য এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার করে, তাহলে ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবাহকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে না।
Advertisement
এ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমবে যদি সরকার তার নীতিতে অটল থাকে। যদিও বাজেটে কিছু পদক্ষেপের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়বে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যেমন ফ্রিজসহ বেশ কিছু বিলাসী পণ্যের কথা বলা হয়েছে।
হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষকে কিছুটা সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা একটি ভালো দিক। তবে এর প্রকৃত ফল নির্ভর করবে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর। যাদের জন্য এই বরাদ্দ দেওয়া হবে, তারা যথাযথভাবে পেলে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আইএইচও/এমএমএআর/জেআইএম
Advertisement