তিন যুগ পর সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হচ্ছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শুল্ক বসানোর এ প্রস্তাব করেছেন।
Advertisement
পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা পুরোপুরি থাকছে না। প্রস্তাবিত বাজেটে এমপিদের আমদানি করা গাড়িতে মোট ৪০ শতাংশ মূসক ও শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংসদ সদস্যরা যে গাড়িই আনেন না কেন, ১৯৮৮ সালের পর থেকে তাদের কোনো ধরনের শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক বা ভ্যাট দিতে হয়নি। তিন যুগ পর সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধায় লাগাম টানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, তাতে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি হতে বের হয়ে আসার জন্য সবাইকে রাজস্ব প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যগণের সকল প্রকার শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতিরেকে গাড়ি আমদানির প্রাধিকার কিছুটা পরিবর্তন করা একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এই উদ্দেশ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তন করা যেতে পারে।
এজন্য প্রেসিডেন্টস অর্ডার এর ‘দ্য মেম্বারস অব পার্লামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স) অর্ডার, ১৯৭৩’ এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
সাধারণত গাড়ি আমদানিতে ধরন অনুযায়ী মোট মূল্যের উপর ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক আমদানি শুল্ক দিতে হয়। এর বাইরে গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দিতে হয় নানাবিধ সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট। গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর পরে সম্পূরক শুল্ক বসে।
আশির দশকের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা দেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানটি বাতিল করে। তবে সে সময় সংসদ না থাকায় কেউ এ নিয়মের আওতায় আসেনি। তবে ২০০৯ সালে এটি পুনরায় চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার।
Advertisement
এসএম/এমএইচআর/জেআইএম