গত বছর ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে চতুর্থ মিনিটে গোল উৎসব শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতি গিয়েছিল সকারুজরা। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ৭-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ৬ বার বিশ্বকাপ খেলা দলটি।
Advertisement
ঢাকায় বাংলাদেশের জালে কয় গোল দিয়ে যাবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নেওয়া দলটি? দর্শকদের কৌতুহল ছিল সেটাই। তবে বৃহস্পতিবার কিংস অ্যারেনায় হোম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ২-০ গোলে। ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলেছে বাংলাদেশ। সেই কৌশলে বাংলাদেশ সফল। সকারুজরা ম্যাচটিকে একপেশে করে ফেলবে বলে যে আশঙ্কা ছিল তাও হয়নি।
অতিথি দলটিকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৮ মিনিট পর্যন্ত। তাও দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের- আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল। আজদিন রাসটিকের নেওয়া শট বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠুর পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের জালে।
Advertisement
ওই এক গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল ব্যবধান যাতে না বাড়ে; কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের সামনে সেই কৌশল আর টেকেনি। ৬২ মিনিটে জর্ডান বসের ক্রসে কুসেনির হেডে ব্যবধান ২-০ করে সফরকারীরা।
পাঁচজন রক্ষণে। সামনে শুধু মোরসালিন আর রাকিবকে রেখেছিলেন কোচ। প্রতি আক্রমণে বার দুয়েক বল পেয়েছিলেন এই দুই ফরোয়ার্ড। তবে ঠিকঠাক শটই নিতে পারেননি রাকিব-মোরসালিনরা।
মাঠ ভেজা ছিল। ভারীও ছিল কিছুটা। অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য স্বাভাবিক খেলা একটু সমস্যাই ছিল। এমনকি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছাড় খেয়েছেন।
আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল হজম করেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সে তুলনায় এই ম্যাচে ক্যাবরেরার দল অনেকটাই লড়াই করেছে। এ লড়াইয়ের ইতিবাচক ফল পরের ম্যাচে পরলে সেটাই ভালো। ১১ জুন কাতারে বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে লেবাননের বিপক্ষে। আর টানা ৫ ম্যাচ জেতা অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ একই দিন ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পার্থে।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/