আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নেবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে যা ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এসময় সরকারের ব্যাংক ঋণের এ প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সংস্থান হবে দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।
Advertisement
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করেছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা আছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগের (২০২২-২৩) অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
ইএআর/কেএসআর/এমএস