জাতীয়

শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে সমাজে মাদক থাকবে না: ডিএমপি কমিশনার

কিশোর কখনো ‘গ্যাং’ নয়। কয়েকজন কিশোর একসঙ্গে মিলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে খারাপ কাজ করলে তখন তাকে ‘গ্যাং’ বলা হয়। আজকের কিশোররাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এ কিশোররা খারাপ কাজ করতে পারে না। কিশোররা আইন অমান্য করতে পারে না। আজকের শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে সমাজে মাদক থাকবে না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ডিএমপি এবং জাইকার উদ্যোগে পরিচালিত ডিআরএসপি প্রজেক্টের ‘রোড সেফটি পোস্টার অ্যান্ড স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, কথা বলতে হবে। কিশোররাই হবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় শক্তি। তাহলে সমাজে কিশোর গ্যাং কমে যাবে।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র পোস্টার-স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না শিক্ষার্থীরা। তারা স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে সচেতন করে তুলবে।

Advertisement

তিনি বলেন, পৃথিবীতে পশুদের জন্য কোনো আইন নেই। কিন্তু মানুষের জন্য আইন আছে। সেসব আইন মেনে চলতে মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে আইন অমান্যের প্রতিযোগিতা করি। কে কত বেশি আইন অমান্য করতে পারে সেটা তার ক্রেডিট বলে অনেকেই মনে করেন। শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সবাইকে আইন অমান্য করতে দেখি। ট্রাফিক আইন সবার মেনে চলা উচিৎ।

ট্রাফিক সমস্যার কারণে একজন মুমূর্ষু রোগীকে সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছি না। পাশাপাশি রোগীর গাড়ি দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে যেতে যেয়ে রোগী মারা যাচ্ছে, এমন ঘটনাও ঘটছে। সেই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কে আইন মানার ক্ষেত্রে সবার আগে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহপাঠীদের বলবো ট্রাফিক আইন মেনে চলতে। শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। মা-বাবাকে বলবো ট্রাফিক আইন মেনে সড়কে চলাচল করতে। যে গাড়িচালক আছেন তাকে বলবো দ্রুত কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রাফিক আইন যেন অমান্য না করেন। দ্রুত কোথাও যেতে গাড়িচালক আমার ও পথচারী অথবা অন্য গাড়িতে থাকা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারেন।

ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে এক-একজন শিক্ষার্থী ট্রাফিকের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করবে। সবাইকে তিনি ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসে চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার তমোহিদ ইছিগুছি, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) প্রজেক্ট লিডার ইয়োশিহিসা আসাদা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস