লাইফস্টাইল

ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে কী করবেন?

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ঘর ও বাইরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার দায়িত্ব সবার। এই অনুশীলন প্রথম ঘর থেকেই শুরু করা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখবেন কীভাবে-

Advertisement

বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে

প্রথমেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। এটি শক্তি সংরক্ষণের সর্বোত্তম উপায়। আপনি এমন যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন যা শুধু পরিবেশবান্ধব নয় বরং শক্তি সাশ্রয়ীও।

বিদ্যুৎ সংরক্ষণের সর্বোত্তম উপায় হলো প্রয়োজন ব্যতীত সব ধরনের আলো ও যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দেওয়া। গরম পানির বদলে ঠান্ডা পানি এমনকি ওয়াশিং মেশিনের বদলে হাত দিয়ে কাপড় ধোয়ার অভ্যাস গড়তে পারেন। এভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে ধীরে ধীরে।

Advertisement

গাড়ি কম চালান

ঠিক একইভাবে বাইরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে গাড়ি কম চালান। জানেন কি, বিশ্বে এমনো দেশ আছে যেখানে সবাই গাড়ির বদলে সাইকেল ব্যবহার করেন শুধু পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে।

আর গাড়ি চালালেও এর লিক এয়ার কন্ডিশন মেরামত করুন নিয়মিত। গাড়িতে গ্যাস ভরার সময়ও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে তা ছিটকে না যায়। আপনি মোটর তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনওজন কমাতে শুধু ডায়েট-ব্যায়াম নয়, আরও যা করা জরুরিহঠাৎ চা পান ছেড়ে দিলে শরীরে কী ঘটে জানেন?

মাটির চুলার ব্যবহার বন্ধ করুন

Advertisement

অনেকেই বাড়িতে রান্নার জন্য মাটির চুলা ব্যবহার করেন। তবে এ ধরনের চুলা বাতাসে অতিরিক্ত ধোঁয়া তৈরি করে, যা পুরো পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এর পরিবর্তে আপনি শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে খাবার রান্না করতে পারেন। এতে খরচও কমবে আবার দ্রুত রাঁধতেও পারবেন।

বাড়ির ইকোসিস্টেম বজায় রাখুন

বাড়ির পরিবেশ ভালো রাখতে সবুজ গাছপালা, জীব ও প্রাণীদের সঙ্গে ভালো মিথস্ক্রিয়ার জন্য একটি ইকো সিস্টেমের প্রয়োজন।

তবে অত্যধিক বায়ু দূষণ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে সমগ্র ইকো সিস্টেম আজ নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত। চাইলে আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তন মাধ্যমে এই ইকোসিস্টেম বজায় রাখতে পারেন।

রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধ করুন

পরিবেশকে সরাসরি দূষিত করে এমন সর্বাধিক ব্যবহৃত গৃহস্থালি রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তার পরিবর্তে আপনি পাতিত ভিনেগার, লেবু ও বেকিং সোডা ব্যবহার করে বাসনপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করতে পারেন। বাজারে অনেক প্রাকৃতিক ক্লিনিং পণ্য পাওয়া যায় যা পরিবেশবান্ধব ক্লিনার।

বর্জ্য পণ্য পুনর্ব্যবহার করুন

কাচ, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম ও কাগজের মতো অনেক বর্জ্য পণ্য ডাস্টবিনে ফেলার পরিবর্তে পুনর্ব্যবহৃত করতে পারেন। নিষ্পত্তিযোগ্য প্লাস্টিক বা ব্যাগ ব্যবহার করার পরিবর্তে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার করুন।

বায়ু দূষণ কমাতে সচেতন থাকুন

অতিরিক্ত বায়ু দূষণের কারণে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর অনেক উপায় আছে। যেমন ওয়াটার হিটার, ডিশওয়াশার, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি ব্যবহার কমাতে পারেন। এতে ঘরের পরিবেশ ভালো থাকবে।

ঘরের আশপাশে বা বারান্দায় শাকসবজি চাষ করুন

স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল চাষ করুন। এসব খাবার শরীরের জন্য ভালো আবার বাড়ি ও পরিবেশের দূষণও রোধ হবে।

বাড়ির দূষণ কমাতে বিষাক্ত ও নোংরা পদার্থের ব্যবহার কমাতে হবে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পেতে ঘর থেকেই অনুশীলন শুরু করুন। এজন্য ঘরের সব বর্জ্য পদার্থ সঠিক উপায়ে নিষ্পত্তি করুন।

আবর্জনা বা বর্জ্য পদার্থ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন

বাড়ির আশপাশে কোথাও আবর্জনা বা বর্জ্য পদার্থ ফেলবেন না। আপনাকে অবশ্যই বায়োডিগ্রেডেবল ও নন-বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্যগুলোকে সঠিক উপায়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।

সূত্র: গ্রিন ডায়েরি

জেএমএস/জেআইএম