জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী এমন ৫০ দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এসব দেশের, যা এখন গত তিন দশকের মধ্যে বেড়ে সর্বোচ্চ।
Advertisement
ঋণ জাস্টিস চ্যারিটি নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অবস্থা বেশি অবনতি হয়েছে। তারা বিদেশি ঋণদাতাদের সরকারি রাজস্বের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করছে, যা করোনা মহারির আগের প্রায় ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১০ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য বিশ্লেষণ করে চ্যারিটি সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দেশগুলো যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য তাদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা জরুরিভিত্তিতে কমানো দরকার।
ঋণ জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হেইডি চাউ বলেন, রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ঋণ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমাদের দ্রুত ও কার্যকর প্রকল্প দরকার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ৫০ দেশের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে দেশগুলোর মোট বিদেশি সুদের ৩৮ শতাংশই পরিশোধ করতে হয় বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছে, ৩৫ শতাংশ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে চীনকে পরিশোধ করতে হয় ১৪ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পরিশোধ করতে হয় অন্য সরকারের কাছে।
১৯৯০ ও ২০০০ সালের মাঝামাঝি দুবার ঋণ সহজের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমে ছিল। ২০১০ সালের দিকে ঋণ পুনঃপরিশোধ ধীরে ধীরে বাড়ে। তবে ২০২০ সালের পর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ঋণ জাস্টিস নতুন ঋণ সংকটের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। একটি হলো মহামারির শুরুতে ঋণদাতাদের নেওয়া সাসপেনশন স্কিম শেষ হয়ে গেছে এবং এসব ঋণ এখন পরিশোধ করতে হবে।
Advertisement
ঋণ নেওয়া দেশগুলো বেকায়দায় পড়ার আরও একটি কারণ হলো সুদের হার বেড়ে যাওয়া। তাছাড়া মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমএসএম/এমএমএআর/জেআইএম