আন্তর্জাতিক

সরকার গঠনের আশা ছাড়েনি কংগ্রেস, ইঙ্গিত নতুন অংশীদারের

প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও এখনই সরকার গঠনের আশা ছাড়ছে না কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। সেক্ষেত্রে জোটে নতুন অংশীদার যোগ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খারগে বলেছেন, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামীকাল জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>>

২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে ৪ লাখ ভোটে জিতলেন রাহুল বছর ধরে বিজেপির উপহাস, ভাই-বোনের হাত ধরেই উজ্জীবিত কংগ্রেস

ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠনের আশা এই মুহূর্তে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের আসনসংখ্যার পার্থক্য মাত্র ৬০টির মতো।

Advertisement

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এনডিএ জোট ২৯২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ২৩৯টি আসনে। আর ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩২ আসনে, যার মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ১০০টি আসন।

এ অবস্থায় সবচেয়ে আলোচিত দল হয়ে উঠেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতিশ কুমারের জেডিইউ। বলা হচ্ছে, এ দুটি দলই হতে পারে এবারের নির্বাচনে ‘কিংমেকার’।

দল দুটি বর্তমানে বিজেপি জোটের অংশীদার হলেও অতীতে তারা উভয়েই কংগ্রেসের মিত্র ছিল। এ কারণে তাদের আবারও পাশে টানার চেষ্টা করছে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কংগ্রেস বিরোধী দলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাকি সরকার গঠনের থেকে চেষ্টা করছে?

Advertisement

আরও পড়ুন>>

সরকার গঠন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ, বিজেপির ভাগ্য জোটের হাতে কারাগার থেকে বেরিয়ে সরাসরি ‘কিংমেকার’ নাইডু যে কারণে পশ্চিমবঙ্গে ধরাশায়ী বিজেপি

জবাবে রাহুল বলেন, আমরা আমাদের ইন্ডিয়া জোটের অংশীদারদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক করবো। আমি বিশ্বাস করি, সেখানে এই প্রশ্নগুলো উত্থাপিত হবে এবং তার উত্তর দেওয়া হবে। আমরা আমাদের অংশীদারদের সম্মান করি, তাই তাদের মতামত ছাড়া গণমাধ্যমে বিবৃতি দিতে চাচ্ছি না।

তবে একই প্রশ্ন মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে করা হলে তিনি নতুন অংশীদারদের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দেন।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, যতক্ষণ না আমরা আমাদের জোটের অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলি.... এবং নতুন অংশীদার, যারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারি, দেখা যাক কী হয়।

এরপর অনেকটা কৌতুকের ভঙ্গিতে তিনি বলেন, আমি যদি এখনই আমাদের সব কৌশল প্রকাশ করে দেই, তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সতর্ক হয়ে যাবেন।

কেএএ/