সাহিত্য

তাসলিমা আক্তারের প্রেম ও রোদনের কবিতা

প্রেম দাঁড়িয়ে আছে দয়িতের অলিন্দে।।ক।।কিশোর, একটা কবিতা লিখবে আজ আমার জন্য?শ্মশানের চিতায় নীল আগুনে পোড়া সহমরণের শব্দে নয়বাম পাঁজরের হাড়ের সাথে মিশে থাকা ভালোবাসার কবিতাশীতার্ত ভোরে চা’য়ের কাপে ঠোঁট ছোঁয়ানো উষ্ণতার কবিতা।।।খ।।একদিন সোমেশ্বরী নদী দেখাতে নিয়ে যাবে, কিশোর?শুনেছি সেখানে জলের চোখে মায়ারা ঝিকমিক করেকনে দেখা সন্ধ্যায় তোমার উদ্ভ্রান্ত চুলে দিক হারাবে বাতাসপদ্ম গোখরার সন্মোহনী ফনায় চেয়ে স্থির হবে সময়।।।গ।।জানো কিশোর, সেই থেকে তোমায় দেখে দেখে ভাবিবোহেমিয়ান হয়ে একটা জনম কাটিয়ে দিলে কী আসে যায়মায়ান সভ্যতার রাজপুতের কাছে শুনবো রাজ্য জয়ের ইতিহাসনাচিয়ে মেয়েটির চুড়ির মায়ায় হারিয়ে যাবো দূর বহুদূর।।। ঘ ।।মনে রেখো কিশোর, একদিন আমি তোমায় পূজো দেবোছায়াচ্ছন্ন ঘরটিতে আমরা দুটি জীবন ছাড়া আর কেউ নেইশুদ্ধ স্নানের পর লাল সাদার গরদ, বৃক্ষ দেবে দুটি রক্তজবাপূজোর জানিনে কিছুই, শুধু সেই দুটি রক্তজবাসহ নিজেকে তোমার পায়ে বিসর্জন।সমান্তরাল মানে ছুঁতে না পারার কষ্ট    কি যে হয়েছে, আজকাল বিকেল সন্ধ্যা বড্ড আতংকে কাটেবাসের জ্যাম গরম প্যাচপেচে ঘামের শেষে স্নানঘরযেইনা জল ছেড়ে কলের নিচে দাঁড়ালাম, মনে হলোকেঁপে উঠলো জলের ধারা-দুলে উঠলো সাধের সংসার।আমি বোধ’য় বদলে যেতে চলেছি, পাকাপাকি আটপৌরে সিঁধেল চোরের মত আরামছে মেয়ের বাবার পকেট কাটিইশকুলের ওয়েটিংরুমে ভাবীদের সাথে এর ওর বদনাম গাইকেবল রোদের দিনে সত্য জানি, গনগনে রোদে আমিও কোনোদিন মিছিলে ছিলাম।ছুটিছাটা পড়লে বুড়িগঙ্গার ধারে ছইয়ের নৌকায় ঘণ্টাচুক্তিমরা কাক আলু পটলের খোসা দুর্গন্ধ আর দূষিত বাতাসমোড়কে বন্দি সুখি গৃহীদের চিনেবাদামের ঠোংগা খালি হলে সন্ধ্যা নামেদীর্ঘায়িত দীর্ঘশ্বাসে আংগুলে আংগুল ছোঁয়া তাঁর কথা মনে পরে।পুটুলির মতন একটুখানি মেয়ে আর তার পড়া সাতকাহন!জিওমেট্রি বই ঘুরে ফিরে সে বললে, মা সমান্তরাল কি?সাঁঝবাতির আলোয় তাঁকে অপসৃয়মান দেখেছিলাম শেষবার সমান্তরাল মানে, তাকে আর ছুঁতে না পারার কষ্ট।এইচআর/আরআইপি

Advertisement