টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই এখন বোলারদের তুলোধুনা করা ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিং। ব্যাটাররা কেবল রান করলেই চলছে না, প্রতিযোগীতা হচ্ছে কে কত দ্রুত করতে পারেন সেটি নিয়েও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রতিযোগীতা বেড়ে যায় আরও।
Advertisement
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে যে ভারত খেলতেই চায়নি, সেই ভারতের অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংই কি না বিশ্বকাপের প্রথম আসরে এমন এক রেকর্ড গড়েছেন, যা রীতিমত অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে কেউ কখনো এই রেকর্ড আদৌ ভাঙতে পারবেন কি না সন্দেহ।
মাত্র ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং। ওই ইনিংসে তিনি ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডকে।
যুবরাজের ওই কীর্তির পর আরও সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছে; কিন্তু কোনোটিতেই ভাঙা যায়নি তার রেকর্ড। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টুর্নামেন্টের আগেও তাই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির তালিকায় যুবরাজের নামই আছে সবার উপরে। তার এই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি অবশ্য তালিকায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আছে দুই নম্বরে। গত বছর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ওই তালিকার শীর্ষে চলে গেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং।
Advertisement
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির তালিকার দুই ও তিনে থাকা ব্যাটাররা যুবরাজের চেয়ে ৫টি করে বেশি বল খেলেছেন। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের স্টিফেন মাইবার্গ। সবশেষ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টয়নিসও।
তালিকার চারেও আছেন একজন অজি। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৮ বল খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সমান বল খেলে ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে লোকেশ রাহুল হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। দুই দিন পরই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সমান বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও।
বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডখেলোয়াড়
বল
Advertisement
ম্যাচ
তারিখ
যুবরাজ সিং
১২
ভারত-ইংল্যান্ড
১৯/০৯/২০০৭
স্টেফান মাইবুর্গ
১৭
নেদারল্যান্ডস-আয়ারল্যান্ড
২১/০৩/২০১৪
মার্কাস স্টোইনিজ
১৭
অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা
২৫/১০/২০২২
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
১৮
অস্ট্রেলিযা-পাকিস্তান
২৩/০৩/২০১৪
লোকেশ রাহুল
১৮
ভারত-স্কটল্যান্ড
০৫/১১/২০২১
শোয়েব মালিক
১৮
পাকিস্তান-স্কটল্যান্ড
০৭/১১/২০২১
আইএইচএস/