ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। প্রথমে পোষ্টাল ব্যালট গণনা শেষে এগিয়ে ছিল বিজেপি। পরবর্তীতে ভোট গণনা শুরু হয় সকাল ৯ টায়। ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে।
Advertisement
এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ৩১টি আসনে এগিয়ে আছে। এছাড়া বিজেপি ১০টি এবং জাতীয় কংগ্রেস এক আসনে এগিয়ে আছে। তবে এখনো পর্যন্ত বামফ্রন্ট কোনো আসনে জয় পায়নি।
এদিকে বরাহনগর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষের চেয়ে ৯ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে। মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়া এগিয়ে আছেন।
হুগলি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা ব্যানার্জী বিজেপি জোটের প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের চেয়ে ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে। তৃণমূলের অন্য দুই প্রার্থী শতাব্দী রায় ও সায়নী ঘোষও এগিয়ে আছেন। বীরভূম আসনে এগিয়ে আছেন শতাব্দী রায়। এ আসনে তিনি এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলেন। অপরদিকে যাদবপুর আসনে এগিয়ে আছেন সায়নী ঘোষ। তিনি ২০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল আসনে প্রথম রাউন্ডে ভোট গণনা শেষে জনপ্রিয় অভিনেতা দীপক অধিকার দেবের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ড শেষে ফের ১৯ হাজার ভোটে এগিয়ে যান দেব।
কৃষ্ণনগরে সকালের দিকে মহুয়া মৈত্র পিছিয়ে থাকলেও তৃতীয় রাউন্ড শেষে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জী ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। এই কেন্দ্রে সকাল থেকেই এগিয়ে আছেন এই হ্যাভিওয়েট প্রার্থী।
তবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র ব্যারাকপুর কেন্দ্র। সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও বিজেপির বাহুবলী নেতা অর্জুন সিং। কখনো পার্থ ভৌমিক এগিয়ে থাকলে কখনো আবার অর্জুন সিং এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে তৃতীয় রাউন্ড শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক ৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন:
Advertisement
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র যেখানে সাবেক স্বামী-স্ত্রীর লড়াইয়ের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী সেখানে সুজাতা মন্ডলকে পেছনে ফেলে সৌমিত্র খাঁ ৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝড়ে কাবু বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তা এখনি বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের শাসন তৃণমূলের হাতেই থাকছে নাকি তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে তা জানতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা।
ডিডি/টিটিএন