ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার (১ জুন)। দেড় মাস ধরে সাত দফায় হওয়া এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হবে মঙ্গলবার (৪ জুন)। সব রাজ্যে ভোট গণনা চলছে।
Advertisement
এদিকে, সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ শেষে আসা বুথফেরত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) জোট ৩৫০টিরও বেশি আসন পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে বুথফেরত জরিপই লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নয়। ভোটগণনা শেষে চূড়ান্ত ফল জানাবে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এখন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয়...
১৯৬১ সালের ইলেকশন রুলসের ধারা ৫৪ (ক) অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনের সকাল ৮টা থেকে সব রাজ্যে একযোগে পোস্টাল বেলট পেপারের ভোট গণনা শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট গণনা শুরু হয় এর আধাঘণ্টা পরে।ি
Advertisement
আরও পড়ুন:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল ভারতে লোকসভা নির্বাচন/২৫৭ আসনে এগিয়ে বিজেপিইভিএমগুলো একটি কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা তালাবদ্ধ একটি কক্ষে রাখা হয়, যাকে বলা হয় স্ট্রংরুম। সকাল ৭টার দিকে সব দলের প্রার্থী বা নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্ট্রংরুমের তালা খুলে দেওয়া হয়। তালা খুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক। গণনা কেন্দ্রে শুধু গণনা কর্মী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী ও এজেন্টরা যেতে পারবেন।
পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করা হয় ও তারপর ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটকে গণনা টেবিলে আনা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ও ভিডিওর মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। মেশিনগুলো টেবিলে রাখার পর প্রতিটি কন্ট্রোল ইউনিটের ইউনিক আইডিসহ সিল মারা হয়। পরে ইভিএমগুলো প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে দেখানো হয়।
কন্ট্রোল ইউনিটে একটি বোতাম থাকে। সেটি টিপলে প্রতিটি প্রার্থীর ভোট তাদের নামের পাশে ইভিএমে প্রদর্শিত হতে শুরু করে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
বুথফেরত জরিপ নিয়ে যা বললেন সোনিয়া গান্ধী সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো ভারত মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে মাথা ন্যাড়া করবেন আম আদমি নেতাএবার প্রতিটি ভোট গণনা কেন্দ্রে মোট ১৫টি টেবিল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি গণনার জন্য ও একটি টেবিল রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য সংরক্ষিত। কোন কর্মচারী কোন টেবিলে গণনা করবেন, তা গোপন রাখা হয়। গণনার দিন সকালে প্রতিটি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এলোমেলোভাবে কর্মীদের জন্য কেন্দ্র ও টেবিল বরাদ্দ করেন।
ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে বের হতে দেওয়া হয় না। দায়িত্বে থাকা কর্মী ও কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ গণনাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যেতে পারেন না। যদি কোনো দলের এজেন্টের কাছে ভোট গণনায় সন্দেহজনক কিছু মনে হয়, তাহলে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পর পুনরায় গণনার দাবি জানাতে পারেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের তথ্য ফলাফল শিটে লেখেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন ও বিজয়ী প্রার্থীর হাতে বিজয়ের সার্টিফিকেট তুলে দেন।
ভোট গণনা শেষ হলে ইভিএমগুলো আবার স্ট্রংরুমে রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, গণনার পর ৪৫ দিন ইভিএম স্ট্রংরুমে রাখতে হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ