তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্টার্টআপরাই হবে মূল চালিকাশক্তি: পলক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে স্টার্টআপরা মূল চালিকাশক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ থেকে আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি করে দিয়েছি। সেখান থেকে ৫০টি কোম্পানিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ৫০টি ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠান উপহার দিতে পারবো। সেক্ষেত্রে স্টার্টআপরা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের মূল চালিকাশক্তি।’

সোমবার (৩ জুন) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের সবচেয়ে বড় ডাটা সায়েন্স প্রতিযোগিতা ‘ডাটাথন-৩’ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাটাকে খনিজসম্পদের সঙ্গে তুলনা করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডাটা হলো খনিজসম্পদের মতো। এটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। কোনো দেশে যদি তেল-গ্যাসের খনি থাকে, আর তা যদি তোলার প্রযুক্তি না থাকে, তাহলে অমূল্য এ সম্পদের কোনো মূল্য থাকে না। তেমনই ডাটা অমূল্য সম্পদ। আমাদেরকে এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ডাটা, মোবাইল অপারেটরদের ডাটাগুলো যদি আমরা নিরাপদ করতে পারি, প্রসেসিং করতে পারি, তাহলে অসংখ্য নতুন স্টার্টআপ এবং বিজনেস প্রডাক্ট উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এখানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক। ১২ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারী। ২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ রয়েছে। আমাদের আরও রয়েছে ৫ কোটি শিক্ষার্থী। মেধাবী এসব ছেলেমেয়ে তাদের মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ডাটাকে সেফ, ক্লিন ও প্রসেস-অ্যাবল করে তুলতে সক্ষম। এটা করতে পারলে আমরা শিগগির ডাটানির্ভর ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারবো।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই), রোবটিক্স নিয়ে অনেক সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্যও দরকার প্রচুর ডাটা। প্রয়োজন প্রসেসিং পাওয়ার। সেজন্য আমাদের দরকার ডাটার একটা ক্লাসিফিকেশন। সব ডাটা যদি আমরা ওপেন করে দেই, মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না।’

‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রাইভেট ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট করবো। দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষার জন্য এটা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি আমরা। এটার মাধ্যমে ডাটা প্রসেসিং করা যাবে। কোনটি ওপেন ডাটা, কোনটা এক্সক্লুসিভ ডাটা সেটাও ক্লাসিফাইড করা হবে’ যোগ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

শিগগির বাংলাদেশের ডাটা সায়েন্টিস্ট ও এআই বিশেষজ্ঞরা নতুন নতুন উদ্ভাবন উপহার দেবে প্রত্যাশা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উবারকে চ্যালেঞ্জ করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান পাঠাও এগিয়ে গেছে। আবার বিকাশ, নগদ লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। ভবিষ্যতে গুগল ম্যাপের মতো বাংলাদেশে ম্যাপ হবে। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও যাতে আমাদের ডাটা সায়েন্টিস্ট ও এআই বিশেষজ্ঞরা তৈরি করতে পারেন, সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’

Advertisement

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি প্রমুখ।

এএএইচ/কেএসআর