এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বড় দুই দলের লড়াই। যতটা রোমাঞ্চ ছড়ানোর কথা ছিল, ততটা ছড়ালো না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিনোদন যে একদমই পাওয়া গেলো না এই ম্যাচে।
Advertisement
শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ৭৮ তাড়া করতেও তাদের খেলতে হলো ১৬.২ ওভার। ৬ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে অন্যতম ফেবারিট প্রোটিয়ারা।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ধুঁকেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে তারা মাত্র ২৭ রান তুলতে পারে ২ উইকেট হারিয়ে। রিজা হেনড্রিকস ২ বলে ৪ আর এইডেন মার্করাম ১৪ বলে আউট হন ১২ করে।
কুইন্টন ডি ককের মতো মারকুটে ব্যাটারও খেলেছেন টেস্ট মেজাজে। ২৭ বলে তিনি করেন ২০। ত্রিস্টান স্টাবসের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে মাত্র ১৩।
Advertisement
১৩তম ওভারে ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন আর ডেভিড মিলার। ক্লাসেন ২২ বলে ১৯ আর মিলার ৬ বলে ৬ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
এর আগে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লঙ্কান অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, ব্যাটিং উইকেট। যে কারণে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে।
কিন্তু লঙ্কান অধিনায়কের ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
Advertisement
শুরু থেকেই চাপে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। মাত্র ৩ রান করে আউট হন পাথুম নিশাঙ্কা। কুশল মেন্ডিস করেন সর্বোচ্চ ১৯ রান। কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৬ রান করে বিদায় নেন চারিথ আশালঙ্কা। ১৬ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যথিউজ। দাসুন শানাকা আউট হন ৯ রান করে। ৭ রান আসে মহেশ থিকসানার ব্যাট থেকে। তিনি ছিলেন অপরাজিত। মাথিসা পাথিরানা, নুয়ান থুসারা আউট হন কোনো রান না করেই।
প্রোটিয়া পেসার অ্যানরিখ নরকিয়া ছিলেন সবচেয়ে বিধ্বংসী। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা এবং কেশভ মাহারাজ। ১টি নেন ওটনিয়েল বার্টম্যান।
এমএমআর/