সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। সেজন্য শেষ মুহূর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে হিড়িক পড়েছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব সিম নিবন্ধন করা না হলে সিম বন্ধ করে দেয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।শুধু মাত্র মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সেবা দানকারী কেন্দ্র (কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে) নয়, এ ভিড় ছড়িয়ে পড়েছে পাড়ায়-মহল্লার রিটেইলারদের সেন্টারে। মোবাইল সিম ও রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। লাইন ধরে সবাই নিজ নিজ মোবাইল সংযোগ নিবন্ধন করে নিচ্ছেন। এদিকে সিম নিবন্ধনের ভিড় সামলাতে বেশ সংখ্যক নতুন কর্মী এবং ভ্রাম্যমাণ নিবন্ধন সেন্টার খুলেছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। রাজধানীর কমলাপুর সংলগ্ন মুগদা পাড়া এলাকায় রিটেইলর সেন্টারের এক কর্মী জনান, আমাদের সেন্টারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাধারণ গ্রাহকরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করছে। সময় শেষ হয়ে আসায় সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়েছে অনেকগুণ। শেষ দিকে এ ভিড় মনে হচ্ছে আরো বেড়ে যাবে।বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে নানান ধরনের অপরাধ করছে। এজন্য সরকারের এই উদ্যোগ অনেক ভালো। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বিভিন্ন রকমের বির্তক থাকায় একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলাম কিন্তু বিভিন্ন প্রচার প্রচারণায় উপলদ্ধি করতে পেরেছি এটা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। তাই শেষ মুহূর্তে পরিবার নিয়ে সিম নিবন্ধন করতে এসেছি।সিম নিবন্ধন করতে আসা আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী নাদেরুজ্জামন জানান, ব্যস্ততার কারণে এখনও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে পারিনি। আজ এসেছি কিন্তু এখানে নিবন্ধন করতে আসা মানুষের অনেক ভিড়। ফোন কোম্পানিগুলোর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কেন্দ্র আরো বাড়ানো উচিত ছিল। তাহলে নিবন্ধন করতে আসা সাধারণ গ্রাহকদের ভিড়ের কারণে এত বিড়ম্বনা পোহাতে হতো না।প্রসঙ্গত, ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় গত বছর গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনর্নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া। গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনর্নিবন্ধন চলছে, যা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছে সরকার। এএস/জেএইচ/এমএস
Advertisement